আক্ষেপের ঘর
- মৃৎ মাহমুদ ১১-০৫-২০২৪

জন্মদাতা ও জন্মদাত্রীরর প্রয়োজন Π
ঠিক কতদিন আগলে রাখলে Π
সব চাহিদা পূরণ হবার কাছাকাছি Π
পৌঁছেওও আক্ষেপের ঘর ভাঙে না? Π

উদ্ভ্রান্তের মৃত্যুই সমাধান হতে পারতো ;
খুব কাছ থেকে হাত বোলানো
আর আদরের কপাল চুম্বন
আকস্মাৎ ইরেজারে মুছে ফেলা হল ।

জন্মের সুন্দর আনন্দ এখন
গা গোলানোর মত অস্বস্তিকর ;
ন্যাড়া মাথায় টোকা দিলে কান্না পায়
আর কান্না থামাতে মুখে পুরে দেয়া হয়েছিল
স্বরচিত অস্বস্তিকর মিথ্যে ।

ডাক্তার বাড়িরর চৌকাঠ পেরোনোর পর
বেড়ে ওঠার সকল অবদান ছিল
ভদ্রবেশী দক্ষ সুনাগরিকদের,
অভিভাবক তার ভাবনার অংশ
বাজারে বিকিয়ে দিতে পারে নি,
হিসেব নিকেশ মিলে গেলেও
লভ্যাংশের খাতা নেহায়েতই শূণ্য ।

জননীর নূন্যতম আবদার
আজীবন লাল দাগে আঁকা ছিল
এখন এর স্বার্থক প্রয়োগ
ডায়েরির পাতায়, কবিতার খাতায়,
আর সুনিশ্চিত ভবিষ্যতে ।

বাবার গায়ের ঘাম, হাল ভাঙা দৃষ্টি
অবসরে থূতনির ভাজ,
চোখের কোণে ভবিষ্যতের ভয়ানক প্রতিচ্ছবি,
দোয়া পড়তে কেঁপে ওঠা হাত,
অবিন্যস্ত দীর্ঘশ্বাস,
স্ত্রীর দেয়া অগনিত অপমানের বোঝা,
ঝগড়ায় হেরে যাওয়া,
সিধান্তের ছোট ছোট ভুল,
একঘেয়ে জীবনের বহু অপূর্নতার পরেও
সব চাহিদা পূরণের কাছাকাছি পৌছে
আক্ষেপের ঘর ভাঙে নি ।
আমৃত্যু রাত গভীর হবার আগে
এঁদের কষ্টে কাঁদবো ।

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 0টি মন্তব্য এসেছে।